মাটি পরীক্ষার রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে গ্রাউন্ড ট্রিট্মেন্ট ডিজাইন, বিল্ডিং এর ফাউন্ডেশন ডিজাইন এবং স্ট্রাকচারাল ডিজাইন করা হয়। সুতরাং মাটি পরীক্ষার রিপোর্ট অথেনটিক হওয়া অত্যন্ত জরুরী। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে, যার কারনে লাভজনক না হওয়া সত্বেও আমরা মাটি পরীক্ষার ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেছি আমাদের কাস্টমারদের জন্য।
বাংলাদেশে মাটি পরীক্ষা করার লোকের অভাব নেই। বেশীর ভাগ মাটি পরীক্ষা কোম্পানির ল্যাব নেই, থাকলেও শুধু দেখানোর জন্য রাখে। ফিল্ডে ঠিকমত পরিক্ষা করে না। আমরা ভেরিফাই করতে গিয়ে দেখেছি ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে আমাদের মাটি পরিক্ষার রেজাল্টের সাথে অন্যদের মাটি পরিক্ষার রেজাল্টের কোন মিল নেই। যার কারনে আমরা শুধুমাত্র আমাদের ডিজাইন এবং কনস্ট্রাকশন প্রজেক্টগুলিতে মাটি পরীক্ষা করার জন্য ফিল্ড টেস্ট এবং ল্যাব টেস্টের ব্যবস্থা করেছি।
বিএনবিসি কোড অনুসারে ভূজিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা মাটির ভারবহন ক্ষমতা নির্ণয় করা হয়। সমস্ত পরীক্ষা ASTM মান অনুযায়ী করা হয়। সমস্ত ভূ-প্রযুক্তিগত পরীক্ষা যেমন চালনী বিশ্লেষণ, তরল সীমা, প্লাস্টিক সীমা, সংকোচন সীমা, অনিয়ন্ত্রিত কম্প্রেশন পরীক্ষা, একত্রীকরণ পরীক্ষা, ট্রায়াক্সিয়াল ইউইউ, সিডি ইত্যাদি আমাদের পরীক্ষাগারে অত্যন্ত যত্নসহকারে করা হয়।
আমাদের প্রশিক্ষিত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সার্বক্ষণিক ফিল্ডে তত্ত্বাবধান করে, প্রতি ৫ ফুট পরপর মাটি পরীক্ষা এবং মাটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে। আমাদের ল্যাব টেকনিশিয়ানরা ল্যাবে মাটি পরীক্ষা করে, ফিল্ড এবং ল্যাবের মাটি পরীক্ষার রেজাল্টগুলো অভিজ্ঞ জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা এনালাইসিস করে মাটি পরীক্ষার রিপোর্ট তৈরী করে।