জি এন এস কনস্ট্রাকশন ডিভিশন দিচ্ছে একটি ওয়ান স্টপ কনস্ট্রাকশন সার্ভিস। আপনার জমিতে, আপনার টাকায় আমরা তৈরি করে দিব আপনার কাঙ্ক্ষিত স্থাপনা, ভবন, ফ্যাক্টরি। এক্ষেত্রে মাটি পরীক্ষা, সার্ভে, ডিজাইন চেকিং, ম্যাটেরিয়াল ক্রয়, ভবন নির্মাণ, সুপারভিশনসহ সব কাজ আমরা করে দিব বিশ্বস্ততার সাথে। আপনার সম্পদের সু-ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অপচয় রোধ করে মানসম্পন্ন, টেকসই, ভূমিকম্প সহনীয় ভবন তৈরি করে দেওয়ায় আমাদের কাজ।
আমরা দুইভাবে কনস্ট্রাকশন করে থাকি।
ক) ম্যাটেরিয়াল ক্রয়, ভবন নির্মাণ, সুপারভিশনসহ সব কাজ আমাদের দায়িত্বে, আপনি শুধু চুক্তি মোতাবেক বিল পরিশোধ করবেন। হস্তান্তরের সময় নির্ধারিত থাকবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে না পারলে জরিমানাও নির্ধারিত থাকবে।
খ) ম্যাটেরিয়াল সরবরাহ করার দায়িত্ব আপনাদের। ভবন নির্মাণ, সুপারভিশনসহ সব কাজ আমাদের দায়িত্বে, আপনি চুক্তি মোতাবেক নির্মাণ বিল পরিশোধ করবেন। হস্তান্তরের সময় নির্ধারিত থাকবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে না পারলে জরিমানাও নির্ধারিত থাকবে।
এই সেক্টরে আমাদের কোম্পানির নাম নতুন মনে হলেও এই সেক্টরে আমরা মোটেই নতুন নই। আমাদের ইঞ্জিনিয়ার এবং আর্কিটেক্টরা ২০ বছরের বেশী সময় ধরে এই সেক্টরে সফলতা, সততা এবং সুনামের সহিত বিল্ডিং ডিজাইন এবং কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন করে আসছে। আমরা জানি, এই সেক্টরের দুর্বলতা এবং ত্রুটিগুলো কি কি?
আমরা বাংলাদেশে কনস্ট্রাকশন সেক্টরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে নিচের প্রতিটা বিষয় মেনে নির্মাণ করি।
২। বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ (BNBC 2020)
৩। সাইজমিক ডিটেইলিং (Seismic Detailing)
৪। ডিজিটাল সার্ভে
৫। ইটের খোয়ার ব্যাবহার পরিহার
৬। অটো ব্রিক অথবা কংক্রিট ব্লকের ব্যাবহার
৭। কংক্রিটের শক্তি
দুইটা বিষয় বিবেচনায় রেখে কংক্রিট বানানো উচিত। (ক) শক্তি (খ) স্থায়িত্ব । ইটের খোয়া ব্যাবহার করলে শক্তি এবং স্থায়িত্ব দুইটাই কম হয়। আবার পাথরের খোয়া ব্যাবহার করে সঠিক মাত্রায় সিমেন্ট ব্যবহার না করলে শক্তি ও স্থায়িত্ব দুইটাই কম হয়। যে কংক্রিটের শক্তি যত বেশী তার স্থায়িত্বও তত বেশী হয়। এসব বিবেচনায় রেখে আমরা (ক) সঠিক মাত্রায় ভাল মানের সিমেন্ট ব্যবহার করি (খ) পাথরের খোয়া ব্যবহার করি (গ) কংক্রিটের শক্তি ৪০০০ – ৫০০০ পি এস আই বজায় রাখি। আমরা প্রতিনিয়ত কংক্রিটের শক্তি পরীক্ষা করে এই বিষয়টি নিশ্চিত করি। বড় প্রজেক্ট হলে, আমরা সাইটে ল্যাব স্থাপন করে সব ধরণের ম্যাটেরিয়াল টেস্ট করে কোয়ালিটি কন্ট্রোল এবং এশিঊরেন্স করে থাকি।
৮। নরম তলার ট্রিট্মেন্ট
সাধারণত নীচ তলায় পার্কিং থাকে। উপরের তলাগুলোতে এপার্টমেন্ট করা হয়। ফলে, নীচের তলায় কোন দেয়াল থাকেনা এবং উপরের তলাগুলোতে দেয়াল থাকে। এই কারণে, নীচতলা দুর্বল হয় উপরের তলার সাপেক্ষে। এটাকে ইঞ্জিনিয়াররা “নরম তলা” (soft story) বলে থাকেন। এটার কারণে ভূমিকম্পের সময় নীচ তলায় পিলার ভেঙ্গে পুরো বিল্ডিং ধ্বসে পড়ে। এটার জন্য BNBC 2020 অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে বিল্ডিং ডিজাইন এবং কনস্ট্রাকশন করা হয়।
৯। ছাদে হিট এবং ড্যাম্প প্রুফিং
সাধারণত দেখা যায় ছাদের গরমের কারণে টপ ফ্লোরে এসি ছাড়া থাকা যায় না। আবার মাঝে মাঝে ড্যাম্প হয়, ছাদের নীচে রঙ থাকেনা, কালো হয়ে যায় – দেখতে বিশ্রী লাগে। আগের দিনে যেভাবে জলছাদ করা হতো তা ১০-১৫ বছরে নষ্ট হয়ে যায়। এখন অনেক আধুনিক ম্যাটেরিয়ালস আছে যা দিয়ে ছাদের উপর হিট এবং ড্যাম্প প্রুফিং করলে টপ ফ্লোরটা সবাই পছন্দ করবে।
১০। ট্রান্সপারেন্সি
প্রতিটা প্রজেক্টের আমরা হিসাব রাখি অনলাইনে। আপনি বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে যে কোন সময় দেখতে পারবেন আপনার প্রজেক্টের কোন খাতে কত ব্যয়। প্রতিটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কাস্টমারের অনুমতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
১১। কোয়ালিটি কন্ট্রোল
অভিজ্ঞ রাজমিস্ত্রি, লেবার ও অন্যান্য টেকনিশিয়ানরা সার্বক্ষণিক একজন সাইট ইঞ্জিনিয়ারের তত্বাবধানে সকল কাজ সম্পন্ন করে। ১২ বছরের অভিজ্ঞ কনস্ট্রাকশন ম্যানেজার সাপ্তাহিক একবার সাইট ভিজিট করে। ২০ বছরের অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার মাসে একবার সাইট ভিজিট করেন।
কনস্ট্রাকশন কাজের কোয়ালিটির জন্য আমরা যে বিষয়গুলোর প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে: কনস্ট্রাকশন সেফটি, লে-আউট চেক, শোর প্রটেকশন, মাটিকাটা, রড বাইন্ডিং, সাটারিং, কংক্রিট মিক্সিং, কিউরিং, কনস্ট্রাকশন কাজের সময় ইত্যাদি