বাংলাদেশে অগ্নি দুর্ঘটনা নতুন নয়। দেশে প্রতিদিনেই কোথাও না কোথাও ছোট-বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের দুর্ঘটনা ও উদ্ধারের পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর মোট অগ্নিকান্ড ঘটে ২১,০৭৩ টি । এর মধ্যে ঢাকা শহরেই বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিয়ম না মেনে ভবন তৈরি করায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বাড়ছে।
একটি অগ্নি প্রতিরোধ এবং প্রস্তুতি প্রোগ্রাম প্রতিষ্ঠা করে আপনি ব্যয়বহুল ক্ষতি এবং সম্ভাব্য জরিমানা এড়াতে পারেন। আমরা ACCORD / RSC, ALLIANCE / NIRAPON, PRIMARK, LEVI’S, DIFE সহ সব ধরনের compliance মেনে ফায়ার সেফটি ডিজাইন করে থাকি। যেটা compliance এর জন্য প্রয়োজন হয়। ২০ বছরের বেশি অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা আমরা ফায়ার সেফটি ডিজাইন চেক করে থাকি।
অগ্নি দুর্ঘটনার কারণসমুহঃ
ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট
ভুল ইলেকট্রিক্যাল ডিজাইন
ক্যাবলে ত্রুটিযুক্ত জয়েন্ট
খারাপ মানের ক্যাবল
বয়লার বিস্ফোরণ
গ্যাস লিকেজ
অসাবধানতাই অগ্নিকান্ডের প্রধান কারণ। তাই অগ্নি প্রতিরোধে সচেতনতার কোন বিকল্প নাই। সবাইকে নিজ নিজ অবস্থানে সর্বোচ্চ সচেতন হতে হবে। এ জন্য আপনাকে যা করতে হবে-
যেকোনো ইমারতকে নিরাপদ করতে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা বা বিল্ডিং কোড অনুসরণের বিকল্প নেই। সঠিক নকশা ও নির্মাণ পদ্ধতি অনুসরণ করে অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতিটি শিল্পকারখানায়, সরকারী ও বেসরকারী ভবনে অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপন আইন ও বিধি অনুযায়ী অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করুন।
বাসগৃহ, কলকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি নির্বাপণী যন্ত্রপাতি স্থাপন এবং প্রযোজন মুহূর্তে তা ব্যবহার করতে হবে।
অভিজ্ঞ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা নিয়মিত ভবনের বৈদ্যুতিক কেবল ও ফিটিংস পরীক্ষা করতে হবে।
গুদাম বা কারখানায় ধুমপান নিষিদ্ধ করুন ও দৃশ্যমান স্থানে সতর্কীকরণ পোষ্টার প্রদর্শনের ব্যবস্থা নিন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স হতে অগ্নি প্রতিরোধ, অগ্নি নির্বাপণ, উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে।
ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় নিয়মিত মহড়ার আয়োজন করতে হবে।
মূলত যে সকল কারণে অগ্নিকান্ডের সৃষ্টি হয় সে সব কারণ থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।