Welcome to Geotech & Structures Limited

Ground Improvement

গ্রাউন্ড ট্রিটমেন্ট ডিভিশন

GnS

মাটিকে বিভিন্নভাবে ট্রিট্মেন্ট করে পরিবর্তিত করে উন্নত, শক্ত করাকে গ্রাউন্ড ইম্প্রোভমেন্ট (ground improvement) বা গ্রাউন্ড ট্রিটমেন্ট (ground treatment) বলে। গ্রাউন্ড ট্রিট্মেন্টের মাধ্যমে আমরা কম খরচে পাইলিং ছাড়া অধিক নিরাপদ বিল্ডিং নির্মাণ করতে পারি। বাংলাদেশের মাটি নরম হওয়ার কারনে এটা প্রয়োজন হয়। গ্রাউন্ড ট্রিটমেন্ট ডিভিশন হল “জিওটেক এন্ড স্ট্রাকচারস লিমিটেড” এর একটি ডিভিশন। এর অধীনে আমরা নিন্মোক্ত সার্ভিসসমুহ দিয়ে থাকি।

গ্রাউন্ড ট্রিটমেন্ট ডিভিশন এর সার্ভিসসমুহঃ

  1. সিমেন্ট গ্রাউটিং দিয়ে গ্রাউন্ড ট্রিটমেন্ট
  2. কম দৈর্ঘ্যের পাইল দিয়ে বেশি লোড ক্যাপাসিটি অর্জন
  3. স্যান্ড কম্প্যাকশন পাইল দিয়ে গ্রাউন্ড ট্রিটমেন্ট
  4. পিভিডি (PVD) এবং প্রিলোডিং দিয়ে গ্রাউন্ড ট্রিটমেন্ট
  5. প্রিকাস্ট পাইলিং
  6. কাস্ট ইন সিটু পাইলিং
  7. পাহাড়ের ঢাল সংরক্ষণ ও রিটেইনিং ওয়াল কনস্ট্রাকশন
  8. পুরনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ফাউন্ডেশন ট্রিট্মেন্ট
  9. হাই স্ট্রেংথ জিওটেক্সটাইল দিয়ে রিটেইনিং ওয়াল তৈরী
  10. বেইসমেন্টের যাবতীয় কাজ
    1. ডিজাইন
    2. পাইলিং
    3. মাটি খনন
    4. মনিটরিং
    5. ব্রেসিং লাগানো
    6. সিমেন্ট গ্রাউটিং
    7. শটক্রীটিং
    8. বেইসমেন্টের নিরাপত্তা সরঞ্জাম
    9. বেইসমেন্টে বা আন্ডারগ্রাউন্ডের যে কোন কাজে পানির লিকেজ বন্ধ করা

মাটি পরীক্ষা (শুধু আমাদের প্রজেক্টের জন্য)

গ্রাউন্ড ট্রিটমেন্ট কেন?

বাংলাদেশে গতানুগতিক যে পাইল ফাউন্ডেশন করা হয় তা অনেক ক্ষেত্রেই নিরাপধ নয়। নরম কাদা বা নরম বালিতে ৩-৫ ফুট ব্যাসের পাইল করতে হয় যা ব্যয়বহুল এবং ছোট প্রজেক্টের জন্য অসম্ভব। নরম কাদা কিংবা নরম বালি দুই ক্ষেত্রে আধুনিক এবং সর্বশেষ টেকনোলজি ব্যবহার করে, মাটিকে ট্রিট্মেন্ট করে অনেক ক্ষেত্রে পাইল ফাউন্ডেশন ছাড়া বিল্ডিং করা যায় যা সাশ্রয়ী আবার ভূমিকম্পের সময় অধিক নিরাপত্তা দান করে। মাটিকে বিভিন্নভাবে ট্রিট্মেন্ট করে পরিবর্তিত করে উন্নত, শক্ত করাকে গ্রাউন্ড ইম্প্রোভমেন্ট (ground improvement) বা গ্রাউন্ড ট্রিটমেন্ট (ground treatment) বলে। গ্রাউন্ড ট্রিট্মেন্টের মাধ্যমে আমরা কম খরচে পাইলিং ছাড়া অধিক নিরাপদ বিল্ডিং নির্মাণ করতে পারি।এক্ষেত্রে মাটি পরীক্ষার রিপোর্ট সর্বপ্রথম প্রয়োজন হয় গ্রাউন্ড ট্রিট্মেন্ট ডিজাইন করার জন্য।

গ্রাউন্ড ট্রিট্মেন্ট ডিজাইন করতে কি কি তথ্য প্রয়োজন হয়?
  • মাটি পরীক্ষা রিপোর্ট
  • ভবনের পারিপার্শ্বিক অবস্থা
  • ভবনের বা স্থাপনার দৈর্ঘ, প্রস্থ, উচ্চতা
  • ভবনের ব্যাবহার এবং লোড
  • ভবনের ভৌগলিক অবস্থান

মাটি পরীক্ষা

মাটি পরীক্ষার রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে গ্রাউন্ড ট্রিট্মেন্ট ডিজাইন, বিল্ডিং এর ফাউন্ডেশন ডিজাইন এবং স্ট্রাকচারাল ডিজাইন করা হয়। সুতরাং মাটি পরীক্ষার রিপোর্ট অথেনটিক হওয়া অত্যন্ত জরুরী। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে, যার কারনে লাভজনক না হওয়া সত্বেও আমরা মাটি পরীক্ষার ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেছি আমাদের কাস্টমারদের জন্য।বাংলাদেশে মাটি পরীক্ষা করার লোকের অভাব নেই। বেশীর ভাগ মাটি পরীক্ষা কোম্পানির ল্যাব নেই, থাকলেও শুধু দেখানোর জন্য। ফিল্ডে ঠিকমত পরিক্ষা করে না। আমরা ভেরিফাই করতে গিয়ে দেখেছি ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে আমাদের মাটি পরিক্ষার রেজাল্টের সাথে অন্যদের মাটি পরিক্ষার রেজাল্টের কোন মিল নেই। যার কারনে আমরা শুধুমাত্র আমাদের ডিজাইন এবং কনস্ট্রাকশন প্রজেক্টগুলিতে মাটি পরীক্ষা করার জন্য ফিল্ড টেস্ট এবং ল্যাব টেস্টের ব্যবস্থা করেছি। আমাদের প্রশিক্ষিত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সার্বক্ষণিক ফিল্ডে তত্ত্বাবধান করে, প্রতি ৫ ফুট পরপর মাটি পরীক্ষা এবং মাটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে। আমাদের ল্যাব টেকনিশিয়ানরা ল্যাবে মাটি পরীক্ষা করে, ফিল্ড এবং ল্যাবের মাটি পরীক্ষার রেজাল্টগুলো অভিজ্ঞ জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা এনালাইসিস করে মাটি পরীক্ষার রিপোর্ট তৈরী করে।

ভবনের পারিপার্শ্বিক অবস্থা

বিল্ডিং নির্মাণ সাইটের ডিজিটাল সার্ভের মাধ্যমে এর পারিপার্শ্বিক অবস্থা জানা যায়। এক্ষেত্রে সার্ভেয়ারকে নিচে উল্লেখিত বিষয়গুলো দেয়ার জন্য নির্দেশনা দিতে হবে।

  • গুগল ম্যাপে সাইটের অবস্থান, লংগিচিঊড, ল্যাটিচিউড
  • সাইটের চারপাশে ২০০ ফুটের মধ্যে অবস্থিত সব কিছুর অবস্থান
  • নিকটবর্তী বড় রাস্তার সাপেক্ষে সাইট এবং সাইটের চারিপাশের লেভেল
  • আশেপাশে খাল, পুকুর, নদী, ডোবা, বিল, নালা ইত্যাদি থাকলে সেগুলো প্রদর্শন
  • সম্ভব হলে পিডব্লিওডির আর এল বা বেঞ্চমার্কের সাপেক্ষে লেভেল নেওয়া
  • সাইটের চারপাশের ভবনের উচ্চতা
  • সাইটের চারপাশের ভবনসমুহের ফাউন্ডেশনের গভীরতা (যদি জানা সম্ভব হয়)

বাংলাদেশে ভূমিকম্প হবে কি?

বাংলাদেশের উত্তরে এবং পুর্বে আন্তর্জাতিক বড় ফল্ট লাইন অবস্থিত। এখান থেকে সৃস্টি হয় বড় ভূমিকম্প। আমাদের দেশে বিগত একশ বছরের মধ্যে বড় ভূমিকম্প হয়নি। অর্থাৎ, একশ বছর পরপর যে বড় ভূমিকম্প হওয়ার কথা, সেটা আসন্ন। যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে একটা বড় ভূমিকম্প। বাংলাদেশের এবং বিদেশের বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে একমত যে বাংলাদেশে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের ভুমিকম্প।

ভূমিকম্প হলে কি সমস্যা হবে? বাংলাদেশের বেশীরভাগ স্থাপনা তৈরীর করার আগে বিল্ডিং কোড (BNBC 2020 or BNBC 2006) মেনে ডিজাইন করা হয় নি। আমাদের দেশে রোড, ব্রিজ, রেল লাইন, বিল্ডিং, কল-কারখানা, বিদ্যুতের খুঁটি-টাওয়ার, মোবাইল টাওয়ার, হাসপাতাল, গ্যাস পাইপ লাইন, স্যুয়ারেজ লাইন – এক কথায় কোন কিছুই ভূমিকম্পসহনীয় করে ডিজাইন এবং কনস্ট্রাকশন করা হয় নি। বাংলাদেশের বেশীরভাগ জায়গায় নরম কাদা অথবা নরম বালির উপরে স্থাপনা নির্মাণ করতে বাধ্য হচ্ছি আমরা। কিন্তু, এই ধরণের মাটিতে ভূমিকম্পসহনীয় স্থাপনা ডিজাইন করতে যে সমস্ত বিষয় বিবেচনায় নিতে হয় তা কখনো নেয়া হয় নি। ফলে, বড় ভূমিকম্প হলে যে সমস্ত ঘটনা ঘটবে তার একটা সংক্ষিপ্ত তালিকা নীচে দেয়া হলো।
  • বেশীরভাগ ভবন ধ্বসে পড়বে
  • ধ্বসে পড়া ভবন থেকে জীবিত বা মৃত উদ্ধার করা অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে
  • অনেক ভবনে আগুন ধরে যাবে – সেই আগুন নির্বাপন অত্যন্ত কঠিন হতে পারে
  • বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যাবে – বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে
  • রাস্তাঘাট ধ্বসে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে
  • অনেক ব্রিজ ভেঙ্গে যাবে
  • কিছু ব্রিজ অক্ষত থাকলেও এর দুই প্রান্তের রাস্তার সাথে সংযোগ সড়ক ধ্বসে যাবে
  • জেটি এবং কন্টেইনার টার্মিনাল গুলো ব্যবহার অযোগ্য হবে – ফলে আমদানী-রপ্তানী বন্ধ হয়ে যাবে
  • রেল লাইন বাঁকা হয়ে যাবে, রেল লাইনের ব্রিজগুলো বেশীরভাগ ভেঙ্গে পড়বে – ফলে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে
  • মোবাইল টাওয়ার ভেঙ্গে গিয়ে অনলাইন যোগাযোগ ৭০ শতাংশ বন্ধ হয়ে যাবে
  • গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ছাড়া অন্যান্য কল-কারখানাগুলো ব্যবহার অযোগ্য হয়ে যাবে
  • শহরগুলোতে সুয়্যোরেজ লাইন ফেটে – পুরো শহর দুর্গন্ধে ভরে যাবে
  • গ্যাস পাইপ লাইনে লিক হয়ে যাওয়ার কারণে – গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করতে বাধ্য হবে অথরিটি
  • মৃত মানুষের দুর্গন্ধ এবং সুয়্যোরেজ লাইনের দুর্গন্ধে জীবিত মানুষগুলোও বেশীরভাগ মারা যাবে অথবা অন্য কোন নিরাপদ জায়গায় চলে যেতে বাধ্য হবে
  • বেশীরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে যাবে
সকল সরকারী প্রতিষ্ঠান, ভবন, মার্কেট, হাসপাতাল মুহুর্তের মধ্যে ভেঙ্গে পড়বে

বাংলাদেশের মাটি কেমন?

বাংলাদেশ পলিমাটির দেশ। এখানে মুলত ৩ ধরণের দুর্বল মাটি পাওয়া যায় যার উপর ভবন নির্মাণ করতে গেলে ভবনের ফাউন্ডেশন খরচ অনেক বেশী হয়। (ক) নরম কাদা, (খ) নরম সিল্ট (গ) নরম বালি । নরম কাদা মাটি হউক আর নরম বালি মাটি হউক – সব ক্ষেত্রেই বিল্ডিং নির্মাণ ঝুঁকিপূর্ণ। বড় ভূমিকম্প হলে এসব মাটিতে নির্মিত ভবন ভেঙ্গে পড়ে জানমালের ক্ষতি হয়।

নরম কাদা

বাংলাদেশের বেশীরভাগ জায়গায় মাটিতে নরম কাদা থাকে। যেমন – খুলনা, বাগেরহাট, চট্টগ্রাম, ঢাকার সামান্য অংশ ছাড়া বাকী সবখানে অনেক গভীর পর্যন্ত নরম কাদা আছে। অন্যান্য সব জায়গায় ২০-৩০ ফুট পর্যন্ত নরম কাদা নেই এরকম মাটি পাওয়া বাংলাদেশে দুস্কর। নরম কাদা মাটিতে পাইল ফাউন্ডেশন করে বিল্ডিং ডিজাইন করা হয়। অনেক সময় পাইলের দৈর্ঘ্য ১০০ – ১৫০ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ২০ ইঞ্চি ব্যাসের পাইল দিয়ে সাধারণত ডিজাইন করা হয়। এটা অনেক ক্ষেত্রে বিপদজনক। পাইল লম্বা হওয়ার পাশাপাশি ব্যাস যদি না বাড়ানো হয় তাহলে ভূমিকম্পের সময় পাইল ভেঙ্গে গিয়ে বিল্ডিং ধ্বসে পড়তে পারে। তবে ডিজাইন কিভাবে করতে হবে সেটা নির্ভর করে – ভবনের উচ্চতা, ভবনের প্রশস্ত, মাটির অবস্থা, বিল্ডিং এর অবস্থান, বিল্ডিং এর পারিপার্শ্বিক অবস্থা ইত্যাদি। এসব কিছু বিবেচনায় নিয়ে আমাদের বিশেষজ্ঞ টিম সিদ্ধান্ত নেন গ্রাউন্ড ট্রিট্মেন্ট প্রযোজ্য কিনা, প্রযোজ্য হলে তা লাভজনক কিনা।

নরম পলি

নরম পলি অনেক জায়গায় বাংলাদেশের মাটি গঠন করে। যেমন- ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ। এসব ক্ষেত্রে পাইল ফাউন্ডেশন ডিজাইন করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে, 100-150 ফুট গভীর স্তূপ প্রয়োজন। অনেক সিভিল ইঞ্জিনিয়ার সকল ক্ষেত্রে 20 ইঞ্চি ব্যাসের পাইল ডিজাইন করেন। এই ধরনের পাইল ফাউন্ডেশন ডিজাইন ঝুঁকিপূর্ণ, বিশেষ করে ভূমিকম্পের সময়। ক্রমবর্ধমান দৈর্ঘ্যের সাথে পাইলের ব্যাস অবশ্যই বাড়াতে হবে, অন্যথায় ভূমিকম্পের সময় পাইলটি পার্শ্বীয় বাকলিংয়ে ব্যর্থ হবে। পাইল ব্যর্থ হওয়া মানে বিল্ডিং ধসে যাওয়া কোন সন্দেহ ছাড়াই। ভিত্তি ও কাঠামোর নকশা ভবনের উচ্চতা, দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ এবং পার্শ্ববর্তী অবস্থার উপর নির্ভর করে। এই সমস্ত বিষয়গুলি বিবেচনা করে আমাদের বিশেষজ্ঞ জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং দল আপনার প্রকল্পের জন্য সর্বোত্তম উপযুক্ত গ্রাউন্ড ট্রিটমেন্ট বা ফাউন্ডেশন সিস্টেম ডিজাইন করে। স্থল উন্নতি প্রযোজ্য কি না বিশেষজ্ঞ জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রযোজ্য হলে কোন ধরনের উপযুক্ত। অর্থনীতি, নিরাপত্তা এবং স্থায়িত্বের উপর ভিত্তি করে বিস্তারিত নকশা করা হবে। দুই ধরনের পলি পাওয়া যায়, ইলাস্টিক পলি এবং ননপ্লাস্টিক পলি। ফাউন্ডেশন সিস্টেমের নকশা কমবেশি আলগা বালির অবস্থার মতো। ইলাস্টিক পলিতে নকশা নরম কাদামাটির মতো।

নরম বালি

বাংলাদেশের অনেক জায়গায় নরম বালি পাওয়া যায় – যেমন, বরিশাল শহর, ঢাকার কেরানিগঞ্জ, রাজশাহী, মাওয়া, মাদারীপুর, ফরিদপুর উল্লেখযোগ্য। নরম বালি ভূমিকম্পের সময় পানি – বালি একসাথে মিলে তরল পদার্থের মত আচরণ করে। এ সময় ২০ ইঞ্চি ব্যাসের পাইল ভেঙ্গে গিয়ে বিল্ডিং ধ্বসে পড়তে পারে। সাধারণ অবস্থায় পাইলকে চারিপাশের মাটি চাপ দিয়ে ধরে রাখে। কিন্তু ভূমিকম্পের সময় সেই মাটির বালি এবং পানি একসাথে মিলে তরল পদার্থের মত আচরণ করে, ফলে পাইলকে চারিপাশ থেকে ধরে রাখার জন্য কিছুই থাকে না। এসময় পাইল বিল্ডিং এর ওজনের চাপে ভেঙ্গে যায়। বালির মধ্যে পানির স্তর, বালির ঘনত্ব, ভবনের জিওলোকেশন, বিল্ডিং এর আশে পাশের অবস্থা, ভবনের উচ্চতা, ভবনের প্রশস্ত, ভবনের বেইসমেন্টর সংখ্যা – এসব কিছু বিবেচনায় নিয়ে আমাদের বিশেষজ্ঞ টিম সিদ্ধান্ত নেন আপনার প্রস্তাবিত ভবনের জন্য গ্রাউন্ড ইম্প্রোভমেন্ট করা লাগবে কিনা, লাগলে এর ডিজাইন কি হবে, খরচ কত হবে ইত্যাদি।

সমাধান কি? নরম কাদা কিংবা নরম বালি দুই ক্ষেত্রে আধুনিক এবং সর্বশেষ টেকনোলজি ব্যবহার করে, মাটিকে ট্রিট্মেন্ট করে অনেক ক্ষেত্রে পাইল ফাউন্ডেশন ছাড়া বিল্ডিং করা যায় যা সাশ্রয়ী আবার ভূমিকম্পের সময় অধিক নিরাপধ। মাটি ট্রিট্মেন্ট কে গ্রাউন্ড ইম্প্রোভমেন্ট (ground improvement) বা গ্রাউন্ড ট্রিটমেন্ট (ground treatment) বলে। বাংলাদেশে গতানুগতিক যে পাইল ফাউন্ডেশন করা হয় তা এক্ষেত্রে মোটেই নিরাপধ নয়। এই ধরনের মাটিতে ৩-৪ ফুট ব্যাসের পাইল করতে হয় যা ব্যয়বহুল এবং ছোট প্রজেক্টের জন্য অসম্ভব। এক্ষেত্রে গ্রাউন্ড ট্রিট্মেন্ট হচ্ছে একমাত্র সমাধান। আমরা কিভাবে কাজ করি? গ্রাউন্ড ট্রিট্মেন্ট কোন সাধারণ গতানুগতিক কাজ নয়। এক্ষেত্রে মাটি পরীক্ষা, ডিজাইন এবং কনস্ট্রাকশন এর যে কোন এক ধাপে যদি ভুল হয় তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই মাটি পরীক্ষা, ডিজাইন এবং কনস্ট্রাকশন সব আমরাই করে থাকি। আপনার বিল্ডিং এর ফাউন্ডেশনে কি গ্রাউন্ড ট্রিট্মেন্ট প্রযোজ্য? আপনার ভবনের ফাউন্ডেশনের জন্য গ্রাউন্ড ট্রিট্মেন্ট বা বিকল্প ফাউন্ডেশন সিস্টেম কার্যকরী কিনা, এটার মাধ্যমে আপনার খরচ বাঁচবে কিনা সেটা দেখার জন্য আমাদের নিচের তথ্যগুলি লাগবে।
  • মাটি পরীক্ষা রিপোর্ট
  • ভবনের পারিপার্শ্বিক অবস্থা
  • ভবনের বা স্থাপনার দৈর্ঘ, প্রস্থ, উচ্চতা
  • ভবনের ব্যাবহার এবং লোড
  • ভবনের ভৌগলিক অবস্থান
মাটি পরীক্ষা রিপোর্ট যেহেতু নির্ভরযোগ্য পাওয়া যায় না, আমরা ২ টা ১০০ ফুটের বোরিং করে নিজেরাই ফিল্ড এবং ল্যাব টেস্ট করে রিপোর্ট তৈরী করি। ডিজিটাল সার্ভের মাধ্যমে সাইটের পারিপার্শ্বিক অবস্থা জানা যায়। এসব তথ্য দিয়ে আমাদের বিশেষজ্ঞ টিম এনালাইসিস করে দেখে, আপনার ভবনের জন্য গ্রাউন্ড ট্রিট্মেন্ট প্রযোজ্য কিনা। এখানেই শেষ নয়, যদি গ্রাউন্ড ট্রিট্মেন্ট প্রযোজ্য না হয়, তাহলে কোন ধরনের ফাউন্ডেশন নিরাপধ এবং সাশ্রয়ী সেটা আমাদের বিশেষজ্ঞ টিম আপনাকে জানাবে। ফুটিং, ম্যাট, প্রিকাস্ট পাইল, কাস্ট ইন সিটু পাইল-এর মধ্যে কোনটা বেস্ট অপশন আপনার সাইটের জন্য – তা জানতে পারবেন। ফাউন্ডেশনে গ্রাউন্ড ট্রিট্মেন্ট প্রযোজ্য হলে কি করণীয়? আমাদের বিশেষজ্ঞ টিম যদি মতামত দেন আপনার ভবনের জন্য গ্রাউন্ড ট্রিট্মেন্ট প্রযোজ্য তাহলে তার জন্য খরচ কত হবে এবং এই খরচ গতানুগতিক ডিজাইনের চেয়ে শতকরা কত কম – এই বিষয়গুলো এনালাইসিস করা হয়। গ্রাউন্ড ট্রিটমেন্ট ডিজাইন সম্পন্ন করার পর আমাদের ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিশিয়ান এবং লেবাররা নির্মাণ কাজটা সম্পন্ন করবে। উল্লেখ্য যে, আমরা শুধু ডিজাইন সরবরাহ করি না। মাটি পরীক্ষা, ডিজাইন এবং কনস্ট্রাকশন – সবটাই আমরা করে দিই, যাতে আমরা কাস্টমারের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে পারি এই কাজের জন্য। আমরা ডিজাইন করলে যদি অন্যরা কনস্ট্রাকশন করে এবং কাজে ফাঁকি দেয় বা ভুল করে, তাহলে কাস্টমার ক্ষতিগ্রস্থ হবে। যেহেতু এই কাজটা নতুন, সবাই পারেনা সেহেতু আমরা পুরো দায়িত্ব নিয়ে কাজটা সম্পন্ন করি। আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হই – ডিজাইন এবং কনস্ট্রাকশন ঠিকমত হলো কিনা। সিমেন্ট গ্রাউটিং দিয়ে গ্রাউন্ড ট্রিটমেন্ট সিমেন্টের সাথে কেমিক্যাল মিশিয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন মেশিন দিয়ে নরম বালি মাটিতে উচ্চ চাপে সিমেন্ট গ্রাউটিং করে মাটির ভারবহন ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়। এতে ভুমিকম্পের সময় লিকুইফ্যাকশন হওয়ার প্রবণতা থাকে না। পাইল ফাউন্ডেশন ছাড়া বিল্ডিং করা যায় যা পাইল ফাউন্ডেশনের চেয়েও মজবুত এবং নিরাপধ। এই টেকনোলজি নরম কাদা মাটিতে প্রযোজ্য নয়। পুরনো ভবনের দুর্বল ফাউন্ডেশন শক্ত করার জন্য এটা বেশ কার্যকর যদি নরম বালি থাকে। কম দৈর্ঘ্যের পাইল দিয়ে বেশি লোড ক্যাপাসিটি অর্জন আমাদের দেশে যেভাবে কাস্ট ইন সিটু পাইল (সবাই এটাকে সিটু পাইল বলে) করা হয় তা অত্যন্ত  লো কোয়ালিটির হয়ে থাকে। প্রিকাস্ট পাইল আগে বানিয়ে মাটির ভিতর মেশিন দিয়ে অথবা হ্যামার দিয়ে ঢুকানো হয়। ৪০-৫০ ফুট লম্বা পাইল করার সক্ষমতা অনেক কন্ট্রাকটরের আছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে – অনেক সময় ৪০-৫০ ফুট গভীরতায় শক্ত বালি মাটি পাওয়া যায় না। তাই আমরা যদি পাইলের ভিতর দিয়ে পাইলের নীচে সিমেন্ট-পানি-কেমিক্যাল এর মিশ্রন হাই প্রেসারে ঢুকাতে পারি তাহলে পাইলের লোড নেওয়ার ক্যাপাসিটি কয়েকগুন বেড়ে যায়। আমরা ডিজাইন এবং কনস্ট্রাকশন করে এই টেকনোলজি ব্যাবহার করে আপনাদের ফাউন্ডেশন খরচ ৩০-৫০% কমাতে পারি।   স্যান্ড কম্প্যাকশন পাইল দিয়ে গ্রাউন্ড ট্রিট্মেন্ট Sand Compaction Pile একটি নতুন পদ্ধতি যার মাধ্যমে নরম বালি মাটি ট্রিট্মেন্ট করলে পাইলিং ছাড়া বিল্ডিং করা যায়। এই পদ্ধতি নরম বালি মাটির জন্য প্রযোজ্য হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে কাদা মাটিতে প্রয়োগ করা যায়। বালির সাথে সিমেন্ট মিক্স করে এই পাইল করলে আরো বেশী কার্যকর হয়। তবে এটি ঠিকমতো ডিজাইন এবং কনস্ট্রাকশন না করলে বড় ধরনের বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমাদের দেশে লেবার এবং ফোরম্যান মিলে কোন ধরনের সুপারভিশন ছাড়া যেভাবে স্যান্ড কম্প্যাকশন পাইল করে তা বিল্ডিং এর জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপুর্ণ। তাই আমরা মাটি পরীক্ষা, ডিজাইন এবং কনস্ট্রাকশন – সব করি যাতে কাস্টমারদের আর কোন ঝুঁকি না থাকে। এই পদ্ধতিতে ৩০-৫০% ফাউন্ডেশন খরচ কমানো সম্ভব। ১। মাটি পরীক্ষাঃ প্রথমে মাটি পরীক্ষা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিই প্রস্তাবিত সাইটে স্যান্ড কম্প্যাকশন পাইল প্রযোজ্য কিনা ২। ডিজাইনঃ মাটির ধরন, শক্তি, বিল্ডিং এর উচ্চতা, প্রস্থ, লোকেশন, পারিপার্শ্বিক অবস্থা ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে স্যান্ড কম্প্যাকশন পাইল ডিজাইন করা হয়। এই ডিজাইনের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয় স্যান্ড কম্প্যাকশন পাইলের ব্যাস, ব্যবধান, গভীরতা, সিমেন্টের অনুপাত, বালির ধরণ ইত্যাদি ৩। কনস্ট্রাকশনঃ ডিজাইন অনুযায়ী কাজটা সম্পন্ন করার জন্য আছে আমাদের দক্ষ জনবল। ইঞ্জিনিয়ারের তত্ত্বাবধানে দক্ষ জনবল এবং টেকনিশিয়ান দিয়ে আমরা কম সময়ের মধ্যে স্যান্ড কম্প্যাকশন পাইল করে দিই। এক্ষেত্রে বাজারে অনেক কম রেইটে কাজ করার লোক আছে যা প্রজেক্টের জন্য এবং বিল্ডিং এর জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। পিভিডি (PVD) দিয়ে গ্রাউন্ড ট্রিটমেন্ট PVD হচ্ছে এমন একটি নতুন টেকনোলোজি যার মাধ্যমে নরম কাদা মাটিতে পাইলিং ছাড়া স্থাপনা তৈরী করা যায়। মাটির অবস্থা, ভবনের উচ্চতা, প্রস্থ, আশে পাশের অবস্থা ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে এই টেকনোলজি ব্যবহার করে যদি গ্রাউন্ড ট্রিটমেন্ট করা হয় তাহলে অনেক সাশ্রয়ী মুল্যে ভবনের ফাউন্ডেশন নির্মাণ করা যায়। এক্ষেত্রে মাটি পরীক্ষা, ডিজাইন এবং কনস্ট্রাকশন সব কাজ আমরা করে থাকি। ৪০-৬০% ফাউন্ডেশন খরচ কমানো সম্ভব এই পদ্ধতিতে। PVD হচ্ছে এমন একটি নতুন টেকনোলোজি যার মাধ্যমে নরম কাদা মাটিতে পাইলিং ছাড়া স্থাপনা তৈরী করা যায়। মাটির অবস্থা, ভবনের উচ্চতা, প্রস্থ, আশে পাশের অবস্থা ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে এই টেকনোলজি ব্যবহার করে যদি গ্রাউন্ড ট্রিটমেন্ট করা হয় তাহলে অনেক সাশ্রয়ী মুল্যে ভবনের ফাউন্ডেশন নির্মাণ করা যায়। এক্ষেত্রে মাটি পরীক্ষা, ডিজাইন এবং কনস্ট্রাকশন সব কাজ আমরা করে থাকি। প্রিকাস্ট পাইলিং অত্যাধুনিক মেশিন দিয়ে প্রিকাস্ট পাইলিং করলে পাইল ড্রাইভ করার সময় লোড ক্যাপাসিটি জানা যায়। ফলে ভবন নিরাপধ ও ঝুঁকিমুক্ত হয়। আমরা হাইড্রলিক পুশ পাইল মেশিন ও ডিজেল হ্যামার দিয়ে পাইল ড্রাইভ করে থাকি। কাস্ট ইন সিটু পাইলের কোয়ালিটি কন্ট্রোল যেহেতু কঠিন, প্রিকাস্ট পাইল করাই শ্রেয়। কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে প্রিকাস্ট পাইল ভুমিকম্পের সময় কার্যকরী নয়। আমাদের বিশেষজ্ঞ টিম এ ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। কাস্ট ইন সিটু পাইলিং বাংলাদেশের নরম মাটিতে অনেক ক্ষেত্রে ৩-৫ ফুট ব্যাসের কাস্ট ইন সিটু পাইল প্রয়োজন হয়। অনেকের মধ্যে ভুল ধারনা আছে বড় ব্যাসের পাইল ফাউন্ডেশন ব্যয়বহুল। কিন্তু বিষয়টা উল্টো। কম ব্যাসের পাইল দিয়ে ঠিকমত ভুমিকম্পরোধী ডিজাইন করলে যে পরিমান পাইল দরকার হয়, বড় ব্যাসের পাইল দিয়ে ডিজাইন করলে তার চেয়ে অনেক কম সংখ্যক পাইল লাগে। আমরা তুলনামুলক খরচ হিসাব করে বুঝতে পেরেছি বড় প্রজেক্টে ৩-৫ ফুট ব্যাসের পাইল দিয়ে ডিজাইন করলে খরচ কম হয়। অত্যাধুনিক রোটারি মেশিন দিয়ে কাস্ট ইন সিটু পাইল করলে কোয়ালিটি ভাল হয়। যে সব ক্ষেত্রে প্রিকাস্ট পাইল কার্যকরী নয়, সেখানে বড় ব্যাসের সিটু পাইল ভাল সমাধান। আমাদের বিশেষজ্ঞ টিম এ ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। পাহাড়ের ঢাল সংরক্ষণ ও রিটেইনিং ওয়াল কনস্ট্রাকশন বাংলাদেশের ৩ পার্বত্য জেলা – বান্দরবান, খাগরাছড়ি এবং রাঙামাটি । সিলেট ও চট্টগ্রামের কিছু কিছু এলাকায় পাহাড় আছে। এসব জেলায় রাস্তা এবং ভবন নির্মাণে পাহাড়ের ঢাল সংরক্ষণ করার প্রয়োজন হয়। গতানুগতিক পদ্ধতিতে রিটেইনিং ওয়াল করে এই পর্যন্ত কোন সুফল পাওয়া যায় নি। আমাদের আছে বিশেষজ্ঞ টিম এবং অত্যাধুনিক মেশিন – যা দিয়ে কম খরচে টেকসই সমাধান সম্ভব। পুরনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ফাউন্ডেশন ট্রিট্মেন্ট অনেক সময় পুরনো ভবন ডিটেইল ইঞ্জিনিয়ারিং এশেসমেন্ট করে জানা যায় ভবনের ফাউন্ডেশন ঠিকভাবে ডিজাইন করা হয় নি। এক্ষেত্রে যদি, ভবনের ফাউন্ডেশনের নিচে নরম বালি থাকে তাহলে আমাদের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মেশিন দিয়ে সিমেন্ট এবং কেমিক্যাল উচ্চ চাপে গ্রাউটিং করে মাটির ভারবহন ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। রিটেইনিং ওয়াল (মাটি রক্ষা দেয়াল) ডিজাইন এবং কনস্ট্রাকশন জমিতে ভরাট করা মাটি খাড়া ধরে রাখার জন্য রিটেইনিং ওয়াল বানাতে হয়। এই রিটেইনিং ওয়ালের উচ্চতা, ভরাট মাটির প্রকৃতি, ভরাট মাটির উপর লোড এবং নীচের মাটির অবস্থার উপর ভিত্তি করে রিটেইনিং ওয়াল ডিজাইন করতে হয়। গতানুগতিক ডিজাইনে কাজ করলে খরচ যেমন বেশী হয় তেমনি মাটি রক্ষা দেয়াল ভেঙ্গে পড়ার আশংকা থাকে। অনেক আধুনিক ম্যাটেরিয়াল এবং ডিজাইন পদ্ধতি আছে যার মাধ্যমে কম খরচে টেকসই মাটি রক্ষা দেয়াল (রিটেইনিং ওয়াল) বানানো যায়। আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা আপনার প্রয়োজন এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ২/৩ টা অপশন ডিজাইন করে খরচের একটা তুলনামুলক তালিকা তৈরী করে আপনাকে দিলে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন আপনার জন্য কোন অপশনটা উত্তম। এক্ষেত্রেও আমরা মাটি পরীক্ষা, ডিজাইন, কস্ট ইস্টিমেট এবং কনস্ট্রাকশন সব করে থাকি যার মাধ্যমে কাস্টমারের কাছে দায়বদ্ধ থাকি পুরো কাজটার জন্য। বেইসমেন্টের যাবতীয় কাজ বিভিন্ন কারনে মাটির খনন কাজ করতে হয়। যেমন – মেট্রো রেল স্টেশন, আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো রেল লাইন, টানেল, বিল্ডিং এর নীচে বেইসমেন্ট ফ্লোর কনস্ট্রাকশন। বেইসমেন্টে মাটি খনন করার আগে তার প্রটেকশন সিস্টেম প্লান এবং ডিজাইন করতে হয়। এই কাজটা করার জন্য আমাদের রয়েছে অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার এবং বিশেষজ্ঞ। কয়েক লেভেলের বেইসমেন্ট করতে খনন কাজটা অত্যন্ত ঝুঁকিপুর্ন। আশে পাশে কি ধরনের স্থাপনা আছে, মাটির অবস্থা কেমন, খননের গভীরতা কত, পানির স্তর কোথায়, ভিতরে বা বাইরে কোন পানির বা সুয়্যোরেজ লাইন আছে কিনা – এসব জেনে বিবেচনায় রেখে ডিজাইন করতে হয় মাটি খাড়া ধরে রাখার কৌশল। কয় লেভেলের ব্রেসিং দিলে খনন কাজে সুবিধা হবে আবার খনন কাজটাও নিরাপদ হবে – এসব বিষয় ইঞ্জিনিয়ারদের খুব বুদ্ধিমত্তার সাথে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
  1. ডিজাইন
  2. মাটি পরীক্ষা
  3. পাইলিং
  4. মাটি খনন
  5. মনিটরিং
  6. ব্রেসিং লাগানো
  7. সিমেন্ট গ্রাউটিং
  8. শটক্রীটিং
  9. বেইসমেন্টের নিরাপত্তা সরঞ্জাম
  10. বেইসমেন্টে বা আন্ডারগ্রাউন্ডের যে কোন কাজে পানির লিকেজ বন্ধ করা