গ্রাউন্ড ট্রিটমেন্ট ডিভিশন
মাটিকে বিভিন্নভাবে ট্রিট্মেন্ট করে পরিবর্তিত করে উন্নত, শক্ত করাকে গ্রাউন্ড ইম্প্রোভমেন্ট (ground improvement) বা গ্রাউন্ড ট্রিটমেন্ট (ground treatment) বলে। গ্রাউন্ড ট্রিট্মেন্টের মাধ্যমে আমরা কম খরচে পাইলিং ছাড়া অধিক নিরাপদ বিল্ডিং নির্মাণ করতে পারি। বাংলাদেশের মাটি নরম হওয়ার কারনে এটা প্রয়োজন হয়। গ্রাউন্ড ট্রিটমেন্ট ডিভিশন হল “জিওটেক এন্ড স্ট্রাকচারস লিমিটেড” এর একটি ডিভিশন। এর অধীনে আমরা নিন্মোক্ত সার্ভিসসমুহ দিয়ে থাকি।
গ্রাউন্ড ট্রিটমেন্ট ডিভিশন এর সার্ভিসসমুহঃ
- সিমেন্ট গ্রাউটিং দিয়ে গ্রাউন্ড ট্রিটমেন্ট
- কম দৈর্ঘ্যের পাইল দিয়ে বেশি লোড ক্যাপাসিটি অর্জন
- স্যান্ড কম্প্যাকশন পাইল দিয়ে গ্রাউন্ড ট্রিটমেন্ট
- পিভিডি (PVD) এবং প্রিলোডিং দিয়ে গ্রাউন্ড ট্রিটমেন্ট
- প্রিকাস্ট পাইলিং
- কাস্ট ইন সিটু পাইলিং
- পাহাড়ের ঢাল সংরক্ষণ ও রিটেইনিং ওয়াল কনস্ট্রাকশন
- পুরনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ফাউন্ডেশন ট্রিট্মেন্ট
- হাই স্ট্রেংথ জিওটেক্সটাইল দিয়ে রিটেইনিং ওয়াল তৈরী
- বেইসমেন্টের যাবতীয় কাজ
- ডিজাইন
- পাইলিং
- মাটি খনন
- মনিটরিং
- ব্রেসিং লাগানো
- সিমেন্ট গ্রাউটিং
- শটক্রীটিং
- বেইসমেন্টের নিরাপত্তা সরঞ্জাম
- বেইসমেন্টে বা আন্ডারগ্রাউন্ডের যে কোন কাজে পানির লিকেজ বন্ধ করা
মাটি পরীক্ষা (শুধু আমাদের প্রজেক্টের জন্য)
গ্রাউন্ড ট্রিটমেন্ট কেন?
বাংলাদেশে গতানুগতিক যে পাইল ফাউন্ডেশন করা হয় তা অনেক ক্ষেত্রেই নিরাপধ নয়। নরম কাদা বা নরম বালিতে ৩-৫ ফুট ব্যাসের পাইল করতে হয় যা ব্যয়বহুল এবং ছোট প্রজেক্টের জন্য অসম্ভব। নরম কাদা কিংবা নরম বালি দুই ক্ষেত্রে আধুনিক এবং সর্বশেষ টেকনোলজি ব্যবহার করে, মাটিকে ট্রিট্মেন্ট করে অনেক ক্ষেত্রে পাইল ফাউন্ডেশন ছাড়া বিল্ডিং করা যায় যা সাশ্রয়ী আবার ভূমিকম্পের সময় অধিক নিরাপত্তা দান করে। মাটিকে বিভিন্নভাবে ট্রিট্মেন্ট করে পরিবর্তিত করে উন্নত, শক্ত করাকে গ্রাউন্ড ইম্প্রোভমেন্ট (ground improvement) বা গ্রাউন্ড ট্রিটমেন্ট (ground treatment) বলে। গ্রাউন্ড ট্রিট্মেন্টের মাধ্যমে আমরা কম খরচে পাইলিং ছাড়া অধিক নিরাপদ বিল্ডিং নির্মাণ করতে পারি।এক্ষেত্রে মাটি পরীক্ষার রিপোর্ট সর্বপ্রথম প্রয়োজন হয় গ্রাউন্ড ট্রিট্মেন্ট ডিজাইন করার জন্য।
- মাটি পরীক্ষা রিপোর্ট
- ভবনের পারিপার্শ্বিক অবস্থা
- ভবনের বা স্থাপনার দৈর্ঘ, প্রস্থ, উচ্চতা
- ভবনের ব্যাবহার এবং লোড
- ভবনের ভৌগলিক অবস্থান
মাটি পরীক্ষা
মাটি পরীক্ষার রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে গ্রাউন্ড ট্রিট্মেন্ট ডিজাইন, বিল্ডিং এর ফাউন্ডেশন ডিজাইন এবং স্ট্রাকচারাল ডিজাইন করা হয়। সুতরাং মাটি পরীক্ষার রিপোর্ট অথেনটিক হওয়া অত্যন্ত জরুরী। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে, যার কারনে লাভজনক না হওয়া সত্বেও আমরা মাটি পরীক্ষার ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেছি আমাদের কাস্টমারদের জন্য।বাংলাদেশে মাটি পরীক্ষা করার লোকের অভাব নেই। বেশীর ভাগ মাটি পরীক্ষা কোম্পানির ল্যাব নেই, থাকলেও শুধু দেখানোর জন্য। ফিল্ডে ঠিকমত পরিক্ষা করে না। আমরা ভেরিফাই করতে গিয়ে দেখেছি ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে আমাদের মাটি পরিক্ষার রেজাল্টের সাথে অন্যদের মাটি পরিক্ষার রেজাল্টের কোন মিল নেই। যার কারনে আমরা শুধুমাত্র আমাদের ডিজাইন এবং কনস্ট্রাকশন প্রজেক্টগুলিতে মাটি পরীক্ষা করার জন্য ফিল্ড টেস্ট এবং ল্যাব টেস্টের ব্যবস্থা করেছি। আমাদের প্রশিক্ষিত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সার্বক্ষণিক ফিল্ডে তত্ত্বাবধান করে, প্রতি ৫ ফুট পরপর মাটি পরীক্ষা এবং মাটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে। আমাদের ল্যাব টেকনিশিয়ানরা ল্যাবে মাটি পরীক্ষা করে, ফিল্ড এবং ল্যাবের মাটি পরীক্ষার রেজাল্টগুলো অভিজ্ঞ জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা এনালাইসিস করে মাটি পরীক্ষার রিপোর্ট তৈরী করে।
ভবনের পারিপার্শ্বিক অবস্থা
বিল্ডিং নির্মাণ সাইটের ডিজিটাল সার্ভের মাধ্যমে এর পারিপার্শ্বিক অবস্থা জানা যায়। এক্ষেত্রে সার্ভেয়ারকে নিচে উল্লেখিত বিষয়গুলো দেয়ার জন্য নির্দেশনা দিতে হবে।
- গুগল ম্যাপে সাইটের অবস্থান, লংগিচিঊড, ল্যাটিচিউড
- সাইটের চারপাশে ২০০ ফুটের মধ্যে অবস্থিত সব কিছুর অবস্থান
- নিকটবর্তী বড় রাস্তার সাপেক্ষে সাইট এবং সাইটের চারিপাশের লেভেল
- আশেপাশে খাল, পুকুর, নদী, ডোবা, বিল, নালা ইত্যাদি থাকলে সেগুলো প্রদর্শন
- সম্ভব হলে পিডব্লিওডির আর এল বা বেঞ্চমার্কের সাপেক্ষে লেভেল নেওয়া
- সাইটের চারপাশের ভবনের উচ্চতা
- সাইটের চারপাশের ভবনসমুহের ফাউন্ডেশনের গভীরতা (যদি জানা সম্ভব হয়)
বাংলাদেশে ভূমিকম্প হবে কি?
বাংলাদেশের উত্তরে এবং পুর্বে আন্তর্জাতিক বড় ফল্ট লাইন অবস্থিত। এখান থেকে সৃস্টি হয় বড় ভূমিকম্প। আমাদের দেশে বিগত একশ বছরের মধ্যে বড় ভূমিকম্প হয়নি। অর্থাৎ, একশ বছর পরপর যে বড় ভূমিকম্প হওয়ার কথা, সেটা আসন্ন। যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে একটা বড় ভূমিকম্প। বাংলাদেশের এবং বিদেশের বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে একমত যে বাংলাদেশে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের ভুমিকম্প।
- বেশীরভাগ ভবন ধ্বসে পড়বে
- ধ্বসে পড়া ভবন থেকে জীবিত বা মৃত উদ্ধার করা অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে
- অনেক ভবনে আগুন ধরে যাবে – সেই আগুন নির্বাপন অত্যন্ত কঠিন হতে পারে
- বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যাবে – বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে
- রাস্তাঘাট ধ্বসে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে
- অনেক ব্রিজ ভেঙ্গে যাবে
- কিছু ব্রিজ অক্ষত থাকলেও এর দুই প্রান্তের রাস্তার সাথে সংযোগ সড়ক ধ্বসে যাবে
- জেটি এবং কন্টেইনার টার্মিনাল গুলো ব্যবহার অযোগ্য হবে – ফলে আমদানী-রপ্তানী বন্ধ হয়ে যাবে
- রেল লাইন বাঁকা হয়ে যাবে, রেল লাইনের ব্রিজগুলো বেশীরভাগ ভেঙ্গে পড়বে – ফলে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে
- মোবাইল টাওয়ার ভেঙ্গে গিয়ে অনলাইন যোগাযোগ ৭০ শতাংশ বন্ধ হয়ে যাবে
- গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ছাড়া অন্যান্য কল-কারখানাগুলো ব্যবহার অযোগ্য হয়ে যাবে
- শহরগুলোতে সুয়্যোরেজ লাইন ফেটে – পুরো শহর দুর্গন্ধে ভরে যাবে
- গ্যাস পাইপ লাইনে লিক হয়ে যাওয়ার কারণে – গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করতে বাধ্য হবে অথরিটি
- মৃত মানুষের দুর্গন্ধ এবং সুয়্যোরেজ লাইনের দুর্গন্ধে জীবিত মানুষগুলোও বেশীরভাগ মারা যাবে অথবা অন্য কোন নিরাপদ জায়গায় চলে যেতে বাধ্য হবে
- বেশীরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে যাবে


বাংলাদেশের মাটি কেমন?
বাংলাদেশ পলিমাটির দেশ। এখানে মুলত ৩ ধরণের দুর্বল মাটি পাওয়া যায় যার উপর ভবন নির্মাণ করতে গেলে ভবনের ফাউন্ডেশন খরচ অনেক বেশী হয়। (ক) নরম কাদা, (খ) নরম সিল্ট (গ) নরম বালি । নরম কাদা মাটি হউক আর নরম বালি মাটি হউক – সব ক্ষেত্রেই বিল্ডিং নির্মাণ ঝুঁকিপূর্ণ। বড় ভূমিকম্প হলে এসব মাটিতে নির্মিত ভবন ভেঙ্গে পড়ে জানমালের ক্ষতি হয়।
নরম কাদা
বাংলাদেশের বেশীরভাগ জায়গায় মাটিতে নরম কাদা থাকে। যেমন – খুলনা, বাগেরহাট, চট্টগ্রাম, ঢাকার সামান্য অংশ ছাড়া বাকী সবখানে অনেক গভীর পর্যন্ত নরম কাদা আছে। অন্যান্য সব জায়গায় ২০-৩০ ফুট পর্যন্ত নরম কাদা নেই এরকম মাটি পাওয়া বাংলাদেশে দুস্কর। নরম কাদা মাটিতে পাইল ফাউন্ডেশন করে বিল্ডিং ডিজাইন করা হয়। অনেক সময় পাইলের দৈর্ঘ্য ১০০ – ১৫০ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ২০ ইঞ্চি ব্যাসের পাইল দিয়ে সাধারণত ডিজাইন করা হয়। এটা অনেক ক্ষেত্রে বিপদজনক। পাইল লম্বা হওয়ার পাশাপাশি ব্যাস যদি না বাড়ানো হয় তাহলে ভূমিকম্পের সময় পাইল ভেঙ্গে গিয়ে বিল্ডিং ধ্বসে পড়তে পারে। তবে ডিজাইন কিভাবে করতে হবে সেটা নির্ভর করে – ভবনের উচ্চতা, ভবনের প্রশস্ত, মাটির অবস্থা, বিল্ডিং এর অবস্থান, বিল্ডিং এর পারিপার্শ্বিক অবস্থা ইত্যাদি। এসব কিছু বিবেচনায় নিয়ে আমাদের বিশেষজ্ঞ টিম সিদ্ধান্ত নেন গ্রাউন্ড ট্রিট্মেন্ট প্রযোজ্য কিনা, প্রযোজ্য হলে তা লাভজনক কিনা।
নরম পলি
নরম পলি অনেক জায়গায় বাংলাদেশের মাটি গঠন করে। যেমন- ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ। এসব ক্ষেত্রে পাইল ফাউন্ডেশন ডিজাইন করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে, 100-150 ফুট গভীর স্তূপ প্রয়োজন। অনেক সিভিল ইঞ্জিনিয়ার সকল ক্ষেত্রে 20 ইঞ্চি ব্যাসের পাইল ডিজাইন করেন। এই ধরনের পাইল ফাউন্ডেশন ডিজাইন ঝুঁকিপূর্ণ, বিশেষ করে ভূমিকম্পের সময়। ক্রমবর্ধমান দৈর্ঘ্যের সাথে পাইলের ব্যাস অবশ্যই বাড়াতে হবে, অন্যথায় ভূমিকম্পের সময় পাইলটি পার্শ্বীয় বাকলিংয়ে ব্যর্থ হবে। পাইল ব্যর্থ হওয়া মানে বিল্ডিং ধসে যাওয়া কোন সন্দেহ ছাড়াই। ভিত্তি ও কাঠামোর নকশা ভবনের উচ্চতা, দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ এবং পার্শ্ববর্তী অবস্থার উপর নির্ভর করে। এই সমস্ত বিষয়গুলি বিবেচনা করে আমাদের বিশেষজ্ঞ জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং দল আপনার প্রকল্পের জন্য সর্বোত্তম উপযুক্ত গ্রাউন্ড ট্রিটমেন্ট বা ফাউন্ডেশন সিস্টেম ডিজাইন করে। স্থল উন্নতি প্রযোজ্য কি না বিশেষজ্ঞ জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রযোজ্য হলে কোন ধরনের উপযুক্ত। অর্থনীতি, নিরাপত্তা এবং স্থায়িত্বের উপর ভিত্তি করে বিস্তারিত নকশা করা হবে। দুই ধরনের পলি পাওয়া যায়, ইলাস্টিক পলি এবং ননপ্লাস্টিক পলি। ফাউন্ডেশন সিস্টেমের নকশা কমবেশি আলগা বালির অবস্থার মতো। ইলাস্টিক পলিতে নকশা নরম কাদামাটির মতো।
নরম বালি
বাংলাদেশের অনেক জায়গায় নরম বালি পাওয়া যায় – যেমন, বরিশাল শহর, ঢাকার কেরানিগঞ্জ, রাজশাহী, মাওয়া, মাদারীপুর, ফরিদপুর উল্লেখযোগ্য। নরম বালি ভূমিকম্পের সময় পানি – বালি একসাথে মিলে তরল পদার্থের মত আচরণ করে। এ সময় ২০ ইঞ্চি ব্যাসের পাইল ভেঙ্গে গিয়ে বিল্ডিং ধ্বসে পড়তে পারে। সাধারণ অবস্থায় পাইলকে চারিপাশের মাটি চাপ দিয়ে ধরে রাখে। কিন্তু ভূমিকম্পের সময় সেই মাটির বালি এবং পানি একসাথে মিলে তরল পদার্থের মত আচরণ করে, ফলে পাইলকে চারিপাশ থেকে ধরে রাখার জন্য কিছুই থাকে না। এসময় পাইল বিল্ডিং এর ওজনের চাপে ভেঙ্গে যায়। বালির মধ্যে পানির স্তর, বালির ঘনত্ব, ভবনের জিওলোকেশন, বিল্ডিং এর আশে পাশের অবস্থা, ভবনের উচ্চতা, ভবনের প্রশস্ত, ভবনের বেইসমেন্টর সংখ্যা – এসব কিছু বিবেচনায় নিয়ে আমাদের বিশেষজ্ঞ টিম সিদ্ধান্ত নেন আপনার প্রস্তাবিত ভবনের জন্য গ্রাউন্ড ইম্প্রোভমেন্ট করা লাগবে কিনা, লাগলে এর ডিজাইন কি হবে, খরচ কত হবে ইত্যাদি।
- মাটি পরীক্ষা রিপোর্ট
- ভবনের পারিপার্শ্বিক অবস্থা
- ভবনের বা স্থাপনার দৈর্ঘ, প্রস্থ, উচ্চতা
- ভবনের ব্যাবহার এবং লোড
- ভবনের ভৌগলিক অবস্থান
- ডিজাইন
- মাটি পরীক্ষা
- পাইলিং
- মাটি খনন
- মনিটরিং
- ব্রেসিং লাগানো
- সিমেন্ট গ্রাউটিং
- শটক্রীটিং
- বেইসমেন্টের নিরাপত্তা সরঞ্জাম
- বেইসমেন্টে বা আন্ডারগ্রাউন্ডের যে কোন কাজে পানির লিকেজ বন্ধ করা